রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গত শুক্রবার ঈদে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ সোমবার চতুর্থ দিনেও নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের টিকিটের জন্য কাউন্টার বাড়ানো হয়নি। একটি মাত্র কাউন্টার থাকায় ঈদে ট্রেনের টিকিট কাটতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা।স্টেশনে পুরুষদের জন্য নয়টি কাউন্টার রয়েছে।
একটি কাউন্টার হওয়ায় নারীদের ২০ থেকে ৩০ ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করে টিকিট পেতে হচ্ছে। কারও কারও এর চেয়ে বেশি সময় লাগছে। তাঁদের রাত কাটাতে হচ্ছে রেলস্টেশনেই।
গতকাল রোববার ভোরে কমলাপুর রেলস্টেশনে আসেন তানিয়া আক্তার। গতকাল সারা দিন ও রাত স্টেশনেই থাকতে হয়েছে। আজ সকাল পৌনে ১০টায় টিকিট পান তিনি।
নারীদের কাউন্টার থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধীদেরও টিকিট দেওয়া হচ্ছে। চারজন নারীর পর একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীকে টিকিট দেওয়া হয়। এ কারণে তাঁদেরও দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
কৃত্রিম পা লাগানো মো. রাসেল আলমের। তিনি গাইবান্ধার টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সকাল ১০টার দিকে রাসেল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে সাতটায় স্টেশনে আসছি। আমার কৃত্রিম পা। আমার পক্ষে তো এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। বসছি, উঠছি—এভাবে সময় পার করছি। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা লাইন করলে ভালো হতো।’
গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেছিলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য আগামীতে আলাদা কাউন্টার করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম বলেছিলেন, আগামী ঈদে নারীদের জন্য আরেকটি কাউন্টার বাড়ানো যায় কি না, তা বিবেচনা করা হবে